USB Type C




All About USB Type C



আপনি মোবাইল, ল্যাপটপ, পিসি ইত্যাদি গ্যাজেটের যেটির ব্যবহারকারীই হোন না কেন USB এবং Micro USB আপনার নিত্যসঙ্গী। আর এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নেই যে এই USB কানেক্ট করতে গিয়ে এর কোনটি সোজা দিক আর কোনটি উল্টো তা নিয়ে আপনাকে প্রতিনিয়তই ঘাম ছুটাতে হয়। আর এ সমস্যার সম্মুখীন হয়নি এমন মানুষ লাখে একটিও মিলবে বলে মনে হয় না।

এই নিয়ে মজা করে বলা হয়, USB cable পোর্টে ঢোকানোর ধাপ ৩টি -

  • ১.আপনি প্রথমবার ঢুকাতে গিয়ে ভুল করবেন,



  • ২. এরপর আপনি নিজের ভুল বুঝতে পারবেন,
  • ৩. শেষমেশ আপনি ঠিকভাবে কানেক্ট করতে পারবেন।


  • কথা সত্য! কিন্তু সেই যুগ প্রায় শেষের পথে। কারণ এসে গেছে নতুন

    USB Type C adaptor


    কিন্তু USB Type C কি?

    USB 2.0 এবং 3.0 এখন পর্যন্ত বাজারে প্রচলিত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত USB port এবং ক্যাবল। আমাদের পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল সবকিছু এই ব্যবহার। আর তাই প্রতিনিয়ত আমাদের উপরের এই ৩ ধাপ পার করতে হয়। USB Type C/ USB C/ USB 3.1 এই সমস্যা দূর করার পাশাপাশি আরো কিছু অসাধারণ ফিচার নিয়ে এসেছে।

    • Tiny size
    • Reversible adapter
    • Faster speed & much power



  • USB 2.0 & 3.0 compatible
  • More durability
  • All in one port/versatility


  • সহজ কথায়, এর কোন সোজা/উল্টোদিক থাকবে না। এটিকে যে কোনদিক দিয়ে যেকোনভাবে প্রবেশ করানো যাবে। এর আকার অনেক ছোট আর চিকন বলে পিসি, ল্যাপটপ থেকে শুরু করে মোবাইল, ট্যাবসহ যেকোন চিকন ডিভাইসে এটি ব্যবহার করা যাবে কিন্তু তাতে এর পুরুত্ব বাড়বে না। কিন্তু ছোট বলে একে দুর্বল ভাবলে চলবে না। এটির ডাটা ট্রান্সফার রেট 10 Gb/s যা USB 3.0 এর ২ গুণ। একইসাথে এটি 100 watt বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে যা যেকোন মোবাইল, ট্যাব থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাফিক্স কার্ড এমনকি 4K মনিটরকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও এটি ১০,০০০ সাইকেল durability rating যার অর্থ এটি ১০,০০০ বার ব্যবহার করা যাবে নিশ্চিন্তে।


    এতে লাভ কি?



    লাভ হলো এখন বিভিন্ন কাজের জন্য যেমন বিভিন্ন পোর্ট তখন আর তেমনটি দরকার হবে না, একই USB cable আর পোর্ট দিয়ে একইসাথে পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইলে গান, সিনেমা, ছবি, ফাইল ইত্যাদি ডাটা ট্রান্সফার, চার্জ করা, live streaming, কারেন্ট সাপ্লাই সব হবে। কারণ এটি যেমন চিকন ফলে যেকোন কম পুরুত্বের ডিভাইস (যেমন স্মার্টফোন, ট্যাব) ব্যবহারের উপযোগী, তেমনি ক্ষমতাশীল যেকোন বড় ডিভাইসে (পিসি, ল্যাপটপ) ব্যবহারের জন্য। আবার এটি দিয়ে যেমন চোখ ধাঁধানো গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করা যাবে, তেমনি এটি দিয়ে যেকোনরকম ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার যাবে সেটি যতই বিদ্যুৎখেকো হোক। আবার এর ডাটা ট্রান্সফার রেট বেশি হওয়াতে এই কেবল দিয়ে live streaming করাও অসম্ভব হবে না। তারমানে সব কাজের জন্য একই কানেক্টর, USB Type C।

    সব শুনে ভাবছেন, বাহ! শুনতে তো ভালই লাগল কিন্তু এই প্রযুক্তি আসতে আসতে আমার নাতি-পুতি না এসে যায়! আপনার জন্য সুসংবাদ... ইতোমধ্যেই এই প্রযুক্তির সাথে ৭৫৭র বেশি কোম্পানি সংযুক্ত হয়েছে যেমন Samsung, Apple, LG etc etc। আর এরমধ্যেই এটি বের হয়ে গিয়েছে। এন্ড্রয়েড OS এর মধ্যে Marshmallow তে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

    Apple এর নতুন Macbook এ শুধুমাত্র একটি USB Type C পোর্টই ব্যবহার করা হয়েছে সব কাজের জন্য। এছাড়া Nokia N1 ট্যাবলেটে এ USB Type C ব্যবহার করা হয়েছে। টেক জায়েন্ট Google তাদের ChromeBook pixel 2015 তে দুইটি USB Type C পোর্ট ব্যবহার করেছে আর আমাদের আশ্বস্ত করেছে অদূর ভবিষ্যতে আরো অনেক ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোনে আমরা এই প্রযুক্তি দেখতে পারব। মোটামুটি ২০১৭ সালের মধ্যেই এই Type C এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।



    আরেকটা কথা, যারা USB 2.0 এবং 3.0 পোর্ট নিয়ে ভাবছেন এই পোর্ট এলেও আপনাদের যাহাই লাউ তাহাই কদু, তাদের জন্য সুসংবাদ। USB Type C backward compatible যার অর্থ এটি USB 2.0 এবং 3.0 পোর্টেও ব্যবহার করা যাবে তবে আলাদা adapter এর প্রয়োজন পড়তে পারে।

    এই ছিল USB Type C নিয়ে যত কথা এই নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আপনার অভিমত কি? আমাদের কমেন্টে জানান আর লাইক দিয়ে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ

    আরো জানতে চাইলে নিচে দেখুন, Universal Serial Bus

    Article টি পছন্দ হলে Facebook Page এ লাইক দিয়ে সবসময় কানেক্টেট থাকুন।

    Facebook Awareness



    আমাকে ফলো করতেঃ
    1. Google Plus Link
    2. Facebook Link

    প্লিজ Subscribe YouTube Channel, টেকনিক্যাল ভিডিও দেখার জন্য। 

    মোঃ সবুজ খান
    টেক প্রিয়জন টিম

    Post a Comment

    Previous Post Next Post

    Contact Form