Safe Mode কি,কিভাবে তা করবেন এবং কিভাবে তা বন্ধ করবেন তার বিস্তারিত দেখুন।



Safe Mode

এন্ড্রয়েড মোবাইল এ Safe Mode কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি তা নিয়ে আজকের আলোচনা।



আমরা অনেক সময় দেখি যে কিছু কিছু Android মোবাইলের বাম পাশে নিচের অংশে Safe Mode
উঠে থাকে,আর তাতেই আমদের চিন্তা অনেকটাই বেড়ে যায়।

》Safe Mode কি ?
Safe Mode Logo

আপনার যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তারা ইতিমধ্যেই জানেন কম্পিউটারে সাধারনত যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তো কম্পিউটার অটোমেটিক Safe Mode এ রান করে। আর Safe Mode এ রান করলে কম্পিউটারের software জনিত সমস্যা গুলো দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।

এন্ড্রয়েড মোবাইলেও Safe Mode এ ঠিক একই রকম সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে গেমস খেলার জন্য Safe Mode হচ্ছে সব চেয়ে নিরাপদ।

সাধারণত আমরা যখন মোবাইল অন কর তখন মোবাইলের system apps সহ install করা সকল এপস-ই Open হয়, কিন্তু আপনি যখন আপনার মোবাইল Safe Mode এ Open করবেন তখন শুধু মাত্র আপনার মোবাইলের system file গুলো রান করবে।

Safe Mode অনেক নিরাপদ এবং সহজ একটি প্রক্রিয়া, এটাতে ঘাবরানোর কিছু নেই। যদি একবার আপনারা এটা বুঝতে পারেন, তাহলে আর কখনোই আপনারা Safe Mode নিয়ে ভয় পাবেন না।


》কিভাবে আপনার মোবাইলের Safe Mode এ যাবেন ?

কিছু কিছু মোবাইলে Power Button কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরলেই লেখা আসে POWER OFF, REBOOT, SAFE MODE. তখন এই Safe Mode এ ক্লিক করলেই আপনার মোবাইল-টি Safe Mode এ রান করবে।

আবার অনেক মোবাইলে এই অপশন-ই থাকেনা।
যেমন : Samsung New Model গুলো।

তখন একটু অন্যভাবে আপনার Safe Mode এ মোবাইল রান করাতে হবে।

আর একটা কথা বলে রাখি যদি কোন মোবাইল কোম্পানী সেই মোবাইলে Safe Mode এর কোন অপশন-ই না রাখে তাহলে কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলেই Safe Mode এর যেতে পারবেন না।

কিন্তু আপনার মোবাইলের যদি Power Button কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরলে যদি Safe Mode অপশন না আসে তাহলে কিভাবে Safe Mode এ মোবাইল রান করবেন?

》পদ্ধতি ১:
আপনার ফোনটি অফ করুন। এরপর Power Button চেপে ফোনটি অন করুন। ফোন অন হবার সময় যখন বুট লোগো/Boot animation দেখবেন তখন সাথে সাথেই volume up (+) অথবা volume down (-) বাটন এর যে কোন একটি চেপে ধরুন ফোন অন না হওয়া পর্যন্ত
বেশির ভাগ Samsung Mobile এ Volume down (-) বাটনটা তেই কাজ হয়ে যায় (Ex: J5, J7,Core 2)

》পদ্ধতি ২:
উপরের প্রক্রিয়ায় কাজ না হলে শুধু মাত্র Menu Button চেপে দেখতে পারেন। এই ক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখা ভালো মেনু বাটন আর হোম বাটন কিন্তু এক না, একটু খেয়াল রাখবেন। সাধারণত Samsung এর মোবাইল গুলোতে একদম মাঝের যে বাটন থাকে সেট হলো Home Button, আর Home Button এর ঠিক বাম পাশেই রয়েছে Menu Button. যদি মেনু বাটন Touch Responsive হয়, তাহলে যদি আলো একবার জ্বলে আবার নিভে যায় তাহলে সাথে সাথেই আবার Touch ছেড়ে দিয়ে আবার মেনু বাটনে ক্লিক করে ধরে রাখতে হবে।

》পদ্ধতি ৩:
কিছু কিছু মোবাইলে trackball আছে। বিশেষ করে google nexus এর মোবাইল গুলোতে। তখন শুধু মাত্র Trackball চেপে রাখলেই হবে। বুট লগো/Boot logo or animation আসার সাথেই সাথেই কিন্তু উপরের প্রক্রিয়া গুলো করতে হবে। ঠিক মত যদি টাইমিং না হয় তাহলে কিন্তু কাজ হবেনা। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েকবার চেষ্টা করে দেখতে হবে। কয়েকবার চেষ্টা করলেই এই বিষয়টা আয়ত্বে এসে যাবে।

》Safe Mode চেনার উপায়:
Safe Mode চেনা খুবই সহজ। মোবাইল অন হবার পর মোবাইলের ডিসপ্লে’র নিচের দিকে জল ছাপের মত লেখা থাকবে safe mode, শুধু তাই নয়, আপনি যখন মোবাইলের সেটিংস এ যাবেন, তখনো এই এক-ই লেখা দেখতে পাবেন। কিছু কথা বলে রাখা ভালো, যখন মোবাইল safe mode অন হবে তখন কিন্তু আপনার মোবাইলের install করা কোন এপস-ই পাবেন না। এত ভয় পাবেন না। কারণ safe mode এ Default এপস ছাড়া কোন কিছু Show করবেনা। মোট কথা ফোন রিসেট দেয়ার পর ফোন ঠিক যে অবস্থায় থাকে ঠিক সেই অবস্থায় আপনার মোবাইলটি অন হবে।

》Safe Mode থেকে Normal Mode এ যাওয়ার নিয়ম:
Turn OFF Safe Mode

সাধারণত Safe Mode থেকে Normal Mode এ ফিরে যেতে হলে ফোন Re-Start করলেই হবে। আর যদি কাজ না হয় তাহলে ফোন অফ করে ব্যাটারি কয়েক সেকেন্ড খুলে রেখে আবার লাগান। এরপর মোবা্ইল অন করুন। Normal Mode এ অন হবে আপনার মোবাইলে। 

কিন্তু এরপরেও যদি কাজ না হয় তাহলে কি করবেন? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনি যে ভাবে Safe Mode এ গিয়েছেন ঠিক একই প্রকিয়ায় আপনি Normal Mode এ ফিরে আসতে পারবেন। অর্থাৎ ফোনের Safe Mode এ যাওয়ার জন্য আপনি যা করেছেন Normal Mode এ ফিরে যেতেও ঠিক এক-ই কাজ করতে হবে।


Samsung এর সময় Power Button টা Press করে ধরে রাখতে হবে যতোক্ষন না মোবাইল Auto Restart নিচ্ছে।নতুন মোবাইলে J5,J7 Or Lollipop/Marshmallow OS গুলোতে
Notification Panel এর নিচেই দেখবেন Safe Mode Off করার Notification আছে।
Notification Panel

》কেন Safe Mode ব্যবহার করা হয়?
সাধারণত ফোনের Simple সমস্যার জন্য আমরা মোবাইল নিয়ে কাষ্টমার কেয়ারে চলে যাই।

(১) মাঝে মাঝে দেখা যায় টাচ অটো কাজ করছে,
(২) ফোন অনেক স্লো হয়ে গেছে,
(৩) অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু এপস অন করলেই লেখা আসে “unfortunately …..has closed” অথবা “Force Close”. তখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেক কিছুই করি। কিন্তু অনেক সময় কোন কিছুতেই কাজ হয়না। তখন আমাদেরকে Safe Mode এর আশ্রয় নিতে হয়।
যারা এই গুলো বোঝে তারা Safe Mode এ গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন আর যারা না বোঝেন তারা মোবাইল নিয়ে কাষ্টমার কেয়ার এ চলে যায়।
আবার দেখা যায় যে System file এর সাথে সামাঞ্জস্য না থাকলে অনেক এপস- uninstall করা যায়না, তখন মোবাইল অনেক স্লো হয়ে যায় এবং মোবা্ইলে বার বার “unfortunately …..has closed” এই লেখা গুলো আসতে থাকে এবং আমাাদের নরমাল কাজ গুলো আমরা মোবাইলের করতে পারিনা। কিন্তু safe mode এ গিয়ে এই সমস্যা গুলো খুব সহজেই সমাধান করতে পারবো।

যে কোন এপস আমরা খুব সহজেই Safe Mode গিয়ে uninstall করতে পারবো। যেহেতু Safe Mode এ সিস্টেম এপস ছাড়া কোন কিছু রান করবেনা, কাজেই যে কোন এপস খুব সহজেই uninstall করা যাবে।

সেই ক্ষেত্রে যে সমস্ত এপসে “unfortunately …..has closed” অথবা “Force Close” লেখা আসে সেই এপস গুলো খুজে খুজে uninstall করতে হবে।
এরপন ফোন নরমাল mode এ অন করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


》Safe Mode এ গেমস খেলার সুবিধা
যদি মোবাইলে র‌্যাম/প্রসেসর কম থাকে সেই ক্ষেত্রে Safe Mode এ গেমস খেলার মজা সব চাইতে বেশি। কেননা, Safe Mode এ সিস্টেম এপস ছাড়া কোন এপস রান করেনা, তাই install করা কোন এপস background এ র‌্যাম শেয়ার করবেনা। তাই আপনার মোবাইলের প্রসেসর এবং র‌্যাম থাকবে পুরোটাই ফাকা। তাই যে সমস্ত গেমস গুলো র‌্যাম এবং প্রসেসর কম হলে Lag করে বা মোবাইল হ্যাং হয়ে যায় সেই মোবাইল গুলোতে Safe Mode এ গেমস খেলে অনেক মজা।


》কিভাবে Safe Mode এ গেমস খেলবেন ?
আপনাদেরকে আগেই বলেছি Safe Mode এ শুধু মাত্র সিস্টেম এপস গুলো রান করবে, ইনষ্টল করা কোন কিছু রান করবেনা বা মোবাইলের display/apps drawer এ দেখাবেনা। সেই ক্ষেত্রে কিভাবে আপনি Safe Mode এ গেমস খেলবেন?

যদি আপনি মোবাইলে কোন Launcher ব্যবহার করে থাকেন তাহলে Safe Mode এ মোবাইল রান করার পূর্বে মোবাইলের default Launcher এ ফিরে আসুন। অর্থাৎ মোবাইল কেনার সময় যে Launcher থাকে সেই Launcher এ ফিরে যান। এখন যে গেমস গুলো Safe Mode এ খেলতে চান সে গুলো আপনার মোবাইলের Display তে নিয়ে আসুন। এইবার আপনার মোবাইল Safe Mode এ রান করুন। দেখবেন যে গুলো মোবাইলের Display-তে ছিল সেগুলো রযেছে। এইবার ইচ্ছা মত গেমস খেলুন।

আপনি যদি রুট ইউজার হন তাহলে যে কোন গেমস কে সিস্টেম এপস বানিয়ে Safe Mode গিয়ে গেমস খেলতে পারবেন। তখন আর নতুন করে Default Launcher এ গিয়ে মোবাইলের Display তে কোন গেমস রাখতে হবেনা। কারণ Safe Mode এ গেলে আপনি শুধু মাত্র মোবাইলের সিস্টেম এপস গুলোই দেখতে পাবেন।

》Safe Mode কত টুকু নিরাপদ:
Safe Mode সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি প্রকিয়া। তবে Safe Mode থেকে Normal Mode এ ফিরে গেলে আপনার মোবাইল আগে যে অবস্থায় ছিলো সে রকম থাকবে।

কিছু কথা বলে রাখা ভালো, Safe Mode এর নাম শুনে ভয় পাবেন না। এটা খুবই সাধারণ একটি প্রক্রিয়া। তবে যে কোন এপস Install করার পর যদি দেখেন “unfortunately …..has closed” অথবা “Force Close” এই লেখা গুলো আসে, তখন সাথে সাথেই সেই এপস গুলো uninstall করে নেবেন।

প্লিজ Subscribe YouTube Channel, টেকনিক্যাল ভিডিও দেখার জন্য। 

7 Comments

  1. সব করার পরেও যদি কাজ না হয়???

    ReplyDelete
    Replies
    1. তখন অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

      Delete
  2. Amar tai toh kono kicutei kaj hosce na plz solution plz

    ReplyDelete
  3. Amr Samsung j2 2016 ar phone safe kivabe on hoice jani na upore notification asse disabled korar jnno but oi khane clik kori restart hoy kintu safe mode off hoy na😭

    ReplyDelete
Previous Post Next Post

Contact Form